চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে এবং তিনি কোন ধর্মের এই কথাগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ , উক্তি বাংলা জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট যেখানে মহান মনীষী এবং জীবন পর্যালোচনা করে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলোর ব্যাখ্যা করা হয়, যা জীবনের জন্য অত্যন্ত তথ্যবহুল হিসাবে ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটটির জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন এই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলোর বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হলো।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে এবং তিনি কোন ধর্মের
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস (Hippocrates) -কে বিবেচনা করা হয়। তিনি প্রাচীন গ্রিসের অধিবাসী ছিলেন এবং খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০ থেকে ৩৭০ সালের মধ্যে বসবাস করতেন। হিপোক্রেটিস চিকিৎসাবিজ্ঞানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি ও পদ্ধতির সূচনা করেন, যা আজও প্রচলিত।
হিপোক্রেটিস ছিলেন গ্রিক ধর্মের অনুসারী। প্রাচীন গ্রিসে মুলত বহু দেব-দেবীর পূজা করা হত, এবং এই ধর্মীয় পরিবেশেই হিপোক্রেটিস চিকিৎসাবিজ্ঞানে তার অবদান রেখে গেছেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিসেবে হিপোক্রেটিস (Hippocrates)-কে বিবেচনা করা হয়। তিনি প্রাচীন গ্রিসের একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন এবং খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০ থেকে ৩৭০ সালের মধ্যে জীবিত ছিলেন। হিপোক্রেটিস আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং তার নামে প্রণীত হিপোক্রেটিক শপথ চিকিৎসকদের নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞান
চিকিৎসা বিজ্ঞান (Medicine) হল এক ধরনের বিজ্ঞান যা মানবদেহের রোগ, আঘাত ও শারীরিক অসুস্থতার প্রতিকার, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা নিয়ে কাজ করে। এই শাস্ত্রের মাধ্যমে রোগ নির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য হলো রোগীর স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করা, রোগ থেকে সুস্থ করে তোলা এবং জীবনমান বৃদ্ধি করা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা রয়েছে, যেমন:
আলোপ্যাথিক চিকিৎসা (Allopathic Medicine)
হোমিওপ্যাথি (Homeopathy)
আয়ুর্বেদ (Ayurveda)
ইউনানী চিকিৎসা (Unani Medicine)
প্রতিটি শাখার নিজস্ব দর্শন, রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি, ও চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।
আলোপ্যাথিক চিকিৎসা
আলোপ্যাথিক চিকিৎসা (Allopathic Medicine) হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ দূর করার জন্য ওষুধ বা সার্জারির মাধ্যমে সরাসরি চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এটি আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের মূলধারা হিসেবে বিবেচিত এবং বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত, রোগের জীবাণু বা কারণের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ সারানোর চেষ্টা করা হয়।
আলোপ্যাথিক চিকিৎসার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
রোগ নির্ণয় ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা: আলোপ্যাথিক চিকিৎসায় বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। যেমন, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, ইত্যাদি।
ওষুধ ও চিকিৎসা: রোগের প্রকৃতি অনুযায়ী নানা ধরনের ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল, ব্যথানাশক, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ওষুধের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং রোগের উপসর্গ কমানোর চেষ্টা করা হয়।
সার্জারি বা অপারেশন: যেসব ক্ষেত্রে ওষুধ যথেষ্ট নয়, সেখানে অপারেশনের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়। যেমন, টিউমার বা ক্যান্সার অপসারণ, হার্ট সার্জারি, ইত্যাদি।
জীবাণু ও সংক্রমণ প্রতিরোধ: আলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের কারণ হিসেবে জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক) শনাক্ত করে সেই জীবাণু ধ্বংস করতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
আলোপ্যাথিক চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো রোগের লক্ষণগুলো দ্রুত কমানো এবং রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।
হোমিওপ্যাথি
হোমিওপ্যাথি (Homeopathy) হলো এক ধরনের বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে “যা রোগ সৃষ্টি করে, তা-ই রোগ নিরাময় করতে পারে”। এই দর্শনটি ল্যাটিন ভাষায় “Similia Similibus Curentur” বা “Similar Cures Similar” নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এটি প্রথম প্রবর্তন করেন জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানেমান ১৭৯৬ সালে।
হোমিওপ্যাথির মূল নীতিগুলো হলো:
সমতা নীতি (Law of Similars): হোমিওপ্যাথিতে বলা হয়, কোনো বস্তু যদি একজন সুস্থ মানুষের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে, তবে সেই একই বস্তু খুব ক্ষুদ্রমাত্রায় ব্যবহৃত হলে অসুস্থ মানুষের মধ্যে একই লক্ষণ নিরাময় করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পেঁয়াজ চোখ এবং নাকে পানি ঝরায়, তাই ঠাণ্ডা বা অ্যালার্জি হলে পেঁয়াজ-জাতীয় উপাদানের নির্যাস ক্ষুদ্র মাত্রায় ব্যবহার করা হয়।
ক্ষুদ্র মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ (Minimum Dose): হোমিওপ্যাথিতে ওষুধগুলিকে খুব ক্ষুদ্রমাত্রায় এবং বিশেষ পদ্ধতিতে মিশ্রিত করে প্রয়োগ করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে পোটেনশিয়েশন বা শক্তিবৃদ্ধি বলা হয়, যা বিশ্বাস করা হয় যে ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়।
একক ওষুধ (Single Remedy): হোমিওপ্যাথিতে এক সময়ে সাধারণত একটি মাত্র ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, যা রোগীর সামগ্রিক উপসর্গ অনুযায়ী নির্বাচন করা হয়।
সমগ্র শরীরের ওপর প্রভাব (Holistic Approach): হোমিওপ্যাথি কেবল রোগের নির্দিষ্ট লক্ষণের ওপর নির্ভর না করে পুরো শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এখানে রোগীকে শারীরিক, মানসিক এবং আবেগগত দিক থেকে মূল্যায়ন করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ধরন:
হোমিওপ্যাথিতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়, যেমন গাছপালা, খনিজ এবং প্রাণীজ উপাদান। উদাহরণস্বরূপ, আর্নিকা ফুলের নির্যাস আঘাত ও ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
কার্যকারিতা ও বিতর্ক:
অনেকের মতে হোমিওপ্যাথি কার্যকর এবং নিরাময়কারী, তবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে। অনেক গবেষণায় হোমিওপ্যাথির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রমাণিত হয়নি, তবে অনেক রোগী এটি থেকে উপকার পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
আয়ুর্বেদ
আয়ুর্বেদ (Ayurveda) হল প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্র, যা মানুষের শরীর, মন এবং আত্মার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য রক্ষা ও রোগ নিরাময়ের পদ্ধতি শেখায়। “আয়ুর্বেদ” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “আয়ু” (Ayur) এবং “বেদ” (Veda) শব্দ দুটি থেকে, যার অর্থ “জীবনের জ্ঞান”। আয়ুর্বেদ প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আয়ুর্বেদের মূল নীতিগুলি হল:
তিন দোষা (Tridosha): আয়ুর্বেদ মতে, মানবদেহের ভেতরে তিনটি মৌলিক শক্তি বা দোষা কাজ করে—ভাত (Vata), পিত্ত (Pitta) এবং কফ (Kapha)।
ভাত: বায়ু ও আকাশের সংমিশ্রণ, যা শরীরের চলাচল ও স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে।
পিত্ত: আগুন ও পানির সংমিশ্রণ, যা হজমশক্তি ও বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
কফ: পানি ও মাটির সংমিশ্রণ, যা শরীরের গঠন, বৃদ্ধি এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রতিটি মানুষে এই তিন দোষা ভিন্ন মাত্রায় থাকে, এবং দোষার ভারসাম্যহীনতা রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
প্রকৃতি অনুযায়ী চিকিৎসা: আয়ুর্বেদে ব্যক্তির শরীরের প্রকৃতি বা দোষা অনুযায়ী রোগের চিকিৎসা নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ, ব্যক্তির ভাত, পিত্ত এবং কফ দোষার ভারসাম্যের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
প্রাকৃতিক ওষুধ এবং খাদ্যাভ্যাস: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় গাছপালা, খনিজ এবং প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এই শাস্ত্রে খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন অভ্যাস, এবং ঋতুভিত্তিক জীবনধারা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।
যোগ ও ধ্যান: আয়ুর্বেদে বিশ্বাস করা হয় যে যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং মননের মাধ্যমে শরীর ও মনের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। এগুলি মানসিক শান্তি ও শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
শরীরের বিষমুক্তি বা পঞ্চকর্ম: আয়ুর্বেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পঞ্চকর্ম (Panchakarma), যা শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য পাঁচটি পরিষ্কার প্রক্রিয়া নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে বমন (Vamana), বস্তি (Basti), নিরুহ (Niruha), নাস্য (Nasya), এবং রক্তমোক্ষন (Raktamokshana)।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সুবিধা ও বিতর্ক:
আয়ুর্বেদে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ফলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত কম হয়। এই পদ্ধতিতে রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য জোর দেয়া হয়। তবে, আয়ুর্বেদের কিছু পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কম রয়েছে, এবং এ কারণে কখনো কখনো এটি আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের তুলনায় কম গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
আয়ুর্বেদ আজও ভারতে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকভাবে চর্চা করা হয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যের বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
ইউনানী চিকিৎসা
ইউনানী চিকিৎসা (Unani Medicine) হল একটি প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্র, যা গ্রিক, পারস্য ও আরবীয় চিকিৎসাবিদ্যার মিশ্রণে গঠিত এবং ভারত, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে জনপ্রিয়। এটি “হিউমোরাল থেরাপি” নামেও পরিচিত এবং প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিসের নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি। পরবর্তীতে পারস্যের চিকিৎসক ইবনে সিনা (আবু আলী সিনা) এবং ইবনে রুশদ এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরো উন্নত করেন।
ইউনানী চিকিৎসার মূল নীতিগুলি হলো:
চারটি প্রধান রস (Akhlat): ইউনানী মতে, শরীরে চারটি প্রধান রস বা হিউমার (Humor) আছে—বালগম (Balgham), দাম (Dam), সফরা (Safra) এবং সাওদা (Sauda)।
বালগম (Balgham): ঠান্ডা ও ভেজা প্রকৃতির রস
দাম (Dam): উষ্ণ ও ভেজা প্রকৃতির রস
সফরা (Safra): উষ্ণ ও শুষ্ক প্রকৃতির রস
সাওদা (Sauda): ঠান্ডা ও শুষ্ক প্রকৃতির রস
শরীরের এই চার রসের ভারসাম্যহীনতা বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে বলে মনে করা হয়। এই ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও রোগ নিরাময় করতে ইউনানী চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ করে।
প্রকৃতি এবং মেজাজের ওপর ভিত্তি: প্রতিটি মানুষের নিজস্ব শরীরের প্রকৃতি এবং মেজাজ রয়েছে, যা তার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। শরীরের মেজাজ বা “তিব” (temperament) অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণ করা হয়, যা রোগীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে।
প্রাকৃতিক ওষুধ: ইউনানী চিকিৎসায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন গাছপালা, খনিজ এবং প্রাণীজ উপাদান থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, তুলসি, মধু, কালোজিরা এবং অ্যালোভেরা ইউনানী চিকিৎসায় ব্যবহৃত জনপ্রিয় উপাদান।
খাদ্য ও জীবনযাপনের নিয়ন্ত্রণ: ইউনানী চিকিৎসা খাদ্য এবং জীবনযাত্রার নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করে। রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ঘুম এবং দৈনন্দিন অভ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখতে বলা হয়।
নিরাময় পদ্ধতি: ইউনানী চিকিৎসায় শারীরিক বিষমুক্তি, হিজামা (রক্তমোক্ষন), ম্যাসাজ, আর্দ্রতা ও তাপ প্রয়োগ, এবং বিভিন্ন ব্যায়াম পদ্ধতির মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়।
সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা:
ইউনানী চিকিৎসায় প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ফলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত কম হয় এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। তবে, কিছু জটিল রোগের ক্ষেত্রে এটি আধুনিক চিকিৎসার তুলনায় ধীর গতির হতে পারে এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ভিত্তিতে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনও বিতর্ক রয়েছে।
ইউনানী চিকিৎসা প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত এবং এটি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত, যেখানে এটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত।