মনুষ্যত্ব নিয়ে উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব, মূলত এই বিষয়গুলো নিয়ে মহান মনীষীরা এবং সফল ব্যক্তিদের দূরদৃষ্টি কেমন ছিল সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে, তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ‘ভালোবাসা নিয়ে উক্তি’ গুলো আমাদের জীবনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে সঠিক দিকনির্দেশনা হয়ে কাজ করবে।
মনুষ্যত্ব নিয়ে উক্তি
জনপ্রিয় এই উক্তি বাংলা ওয়েবসাইটে মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিদের বলে যাওয়া ‘ মনুষ্যত্ব নিয়ে উক্তি’ সমূহ জেনে, নিজের জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করি।
”চিন্তা হল বাতাস, জ্ঞান হল পাল, আর মনুষ্যত্ব হল জলযান।”– অগাস্টাস হেয়ার
”একজন ব্যক্তি তার মানবতাবাদী উদ্বেগের সংকীর্ণ সীমার উপরে সমস্ত মানবতার বিস্তৃত উদ্বেগের উপরে উঠতে না পারতে বাঁচতে শুরু করেননি।”– মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
”বিশ্ব মানবতার, এই নেতা নয়, সেই নেতা বা সেই রাজা বা রাজপুত্র বা ধর্মীয় নেতা নয় বিশ্ব মানবতার অন্তর্গত।”– দালাই লামা
এক না কোনওভাবে, আমাদের সকলকে এই সমসাময়িক জীবনে আমাদের মানবতার ফুলকে সবচেয়ে ভালভাবে উৎসাহিত করার জন্য এবং নিজেকে নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে।”- জোসেফ ক্যাম্পবেল
সফলতা পেতে গেলে যেমন নিরন্তর পরিশ্রমের প্রয়োজন, তেমনি একটি সুন্দর সমাজ গড়তে হলে প্রয়োজন মানবতা।
কারোর কষ্ট দেখে আপনার মন যদি অস্থির হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝবেন মানবতা এখনো আপনার মধ্যে বেঁচে আছে।
একজন মানুষের মনুষ্যত্ব তখনই শেষ হয়ে যায় যখন সে অন্যকে দুঃখী দেখে নিজে খুশী হতে শুরু করে।
আমাদের ধর্ম হোক ভালোবাসা আর জাত হোক শুধু মানবতা। তবেই আমরা জয়ী হবো।
যে মানুষ হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে তার সাথে লাখো মানুষের আশীর্বাদ থাকে।
ইশ্বর তোমাকে মানুষ বানিয়েছেন যাতে মানবতা চিরকাল বেঁচে থাকে।
”মানুষের দুটি সত্তা: একটি জীবসত্তা,অপরটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব।”
ভালো আর মন্দের পার্থক্য বুঝতে পেরে মানুষ ভালো কাজকে বেছে নেবে নিজের জ্ঞান,বিবেক দ্বারা এটাই হচ্ছে মনুষ্যত্ব।”
”মনুষ্যত্ব আমাদের পরম দুঃখের ধন,তাহা বীর্যর দ্বারা লভ্য।”
”মানুষের মনুষ্যত্বের মূল উপাদান আদর,মমতা, বিনয়ী, ক্ষমা, স্নেহ, ভালবাসা, উদারতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা, সততা, ধৈর্য,সহনশীলতা, ইত্যাদি।”
মানুষ প্রতিটি ঘরে জন্মায়, কিন্তু মনুষ্যত্ব জন্মায় মাত্র কয়েকটি ঘরে।
ঈশ্বর সেই ব্যক্তিকেও সম্মান করেন, যে অন্যদের প্রতি করুণা দেখিয়ে তাদেরকে সাহায্য করে।
মনুষ্যত্বহীন মানুষকে মানবতার পাঠ দিতে হবে। তবেই মনুষ্যত্বের জয় হবে।
যে ব্যক্তির অন্তরে স্বার্থপরতা জন্ম নেয়, তার জীবন থেকে মানবতা শেষ হয়ে যায়।
যে ব্যক্তি সকল ধর্মকে সম্মান করে সে কখনই তার মানবতা হারায় না।
সমাজে সেই ব্যক্তির মর্যাদা সর্বদা উচ্চ, যে সর্বদা মানবতার উন্নতির জন্য কাজ করে।
”সকল মানুষের মস্তিষ্কে মনুষ্যত্বের আসল উপাদান থাকে, সেগুলো কঠোর ধ্যান সাধনার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়।”
তুমি যদি জিততে চাও তাহলে তোমাকে নির্মম হতে হবে। অভিযানে বেরিয়ে দলের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযান বাতিল হয়না, অসুস্থকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই উপায় না থাকলে তাকে ফেলে রেখেই এগোতে হবে। এক্ষেত্রে দয়ামায়া ইত্যাদি ব্যাপারগুলো খবই প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। কোনও কোনও মানুষ জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষে এগিয়ে যাওয়ার সময় এমনই কঠোর হন। তাদের নিষ্ঠুর বলা হয়। ইতিহাস ওইসব মানুষের জন্য শেষ পর্যন্ত জাযগা রাখে।
স্বাধীনতার জন্য যোগ্য হতে হবে তারপর বাইরের স্বাধীনতা আদায় করতে হবে।
শাসন শুনতে যতই খারাপ লাগুক, যে মানুষের জীবনে শাসন মানুষ থাকে না তার মত অভাগা আর কে আছে।
বিজ্ঞজনেরা বলে কখনও কাউকে ভালোবাসলে তাকে বিয়ে করো না । ভালোবাসা হল বেনারসী শাড়ির মত, ন্যাপথালিন দিয়ে যত্ন করে আলমারিতে তুলে রাখতে হয়, তাকে আটপৌরে ব্যবহার করলেই সব শেষ।
. বিষয় সম্পত্তি মানুষকে নির্লজ্জ করে । বিশেষ করে আর্থিক দুরবস্থায় পড়লে এবং সামনে কোন নির্দিষ্ট উপায় না থাকলে সে অসহায় হয়ে পড়ে । তরুণ বয়সে যা সহনীয় হয় যৌবন পেরিয়ে তা হয়ে দাঁড়ায় পীড়াদায়ক।
তখন ডুবন্ত মানুষের পায়ের মতো মানুষের মন কিলবিল করতে থাকে একটু শক্ত জমির জন্য।
ন্যায়, নীতি, স্নেহ, ভালোবাসা ইত্যাদির ওপর নিজেকে স্তোক দেয়া পোশাক পড়িয়ে দিতে সে মোটেই দেরি করে না।
ভালোবাসা কখনো কৃতজ্ঞতা থেকে জন্মায় । কৃতজ্ঞতা মানুষকে নম্র করে হয়তো সেই নম্রতা সইতে শেখায় । সয়ে গেলে একসময় ভালোবাসা তৈরি হয়ে যায়।
মুখের উপর মনের কথা স্পষ্ট উচ্চারণ না করলে দুঃখগুলো দূরে থাকে।
প্রেমের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত বোধহয় তার শেকড় মনের গভীরে ছড়িয়ে পড়ে না।
মানুষ যখন কোন কিছুকে মরীয়া হয়ে আঁকড়ে ধরে তখন তার ওপর প্রচণ্ড নির্ভরশীল হয়ে পড়ে । কিন্তু কোন কারণে অকৃতকার্য হলে সে দিশেহারা হয়ে যায় তা থেকে নতুন করে উঠে দাঁড়ানো অসম্ভব।
যে নিজের চোখের জল ফেলে না অথচ ভেতরে ভেতরে রক্তাক্ত হয় তার কষ্ট সবাই বুঝতে পারেনা।
শেষ কথা
আমাদের জীবন চলার পথে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় তখন মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দেওয়া বাণী গুলো আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে আজকে আমরা ‘ মনুষ্যত্ব নিয়ে উক্তি’ গুলো আলোচনা করেছি যা আমাদেরকে সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে সঠিক দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।