শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব, মূলত এই বিষয়গুলো নিয়ে মহান মনীষীরা এবং সফল ব্যক্তিদের দূরদৃষ্টি কেমন ছিল সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে, তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ‘ভালোবাসা নিয়ে উক্তি’ গুলো আমাদের জীবনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে সঠিক দিকনির্দেশনা হয়ে কাজ করবে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উক্তি
জনপ্রিয় এই উক্তি বাংলা ওয়েবসাইটে মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিদের বলে যাওয়া ‘ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উক্তি’ সমূহ জেনে, নিজের জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করি।
যাকে তাকে গছিয়ে দেওয়ার নামই বিবাহ নয়, মনের মিল না হলে বিবাহ করাই ভুল
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
অতীত মুছে ফেলার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে স্থান পালটানো
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ভালবাসাটার মতো এতবড় শক্তি , এতবড় শিক্ষক সংসারে বুঝি আর নাই। ইহা পারে না এতবড় কাজও বুঝি কিছু নাই।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কাল যে ছিল,আজ সে নাই;
আজও যে ছিল,তাহারো ঐ নশ্বর দেহ টা ধীরে ধীরে ভস্মসাৎ হইতেছে, আর তাহাকে চেনাই যায় না; অথচ, এই দেহ টাকে আশ্রয় করিয়া কত আশা,কত আকাঙ্ক্ষা,কত ভয়,কত ভাবনাই না ছিল। কোথায় গেল? এক নিমিষে কোথায় অন্তর্হিত হইল?তবে কি তার দাম?মরিতেই বা কতক্ষন লাগে?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
“সত্যের স্থান বুকের মধ্যে, মুখের মধ্যে নয়। কেবল মুখ দিয়ে বার হয়েছে বলেই কোনো জিনিস কখনো সত্য হয়ে উঠে না। তবু যারা তাকে সকলের অগ্রে, সকলের ঊর্ধে স্থাপন করিতে চায়, তারা সত্য কে ভালোবাসে বলেই করে না, সত্যভাষণের দম্ভকেই ভালোবাসে বলে করে।”
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কিছু একটা কেবল দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে বলেই তা ভালো হয়ে যায় না ।মাঝে মাঝে তাকে যাচাই করে বিচার করে নিতে হয়।যে মমতায় চোখ বুঝে থাকতে চায় সে ই মরে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
মনে করি চাঁদ ধরি হাতে দেই পেড়ে বাবলা গাছে হাত লেগে আঙুল গেল ছিড়ে!
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
মনে হয়, চঞ্চল এবং অস্হিরচিত্ত বলে স্ত্রীলোকের যত অখ্যাতি, ততখানি অখ্যাতির তারা যোগ্য নয়।
অখ্যাতি করতেও তোমরা, সুখ্যাতি করতেও তোমরা।
তোমাদের যা বলবার – অনায়াসে বল; কিন্তু তারা তা পারেনা। নিজের মনের কথা প্রকাশ করতে পারেনা;
পারলেও তা সবাই বোঝে না। কেন না, বড় অস্পষ্ট হয় – তোমাদের মুখের কাছে চাপা পড়ে যায়। তারপরে অখ্যাতিটাই লোকের মুখে স্পষ্টতর হয়ে ওঠে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শিক্ষা, বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান, উন্নতি — যা কিছু সব সুখের জন্য। যেমন করেই দেখ না কেন, নিজের সুখ বাড়ানো ছাড়া এ সকল আর কিছুই নয়।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
যে বস্তুরই হোক, শেষ পর্যন্ত ভেবে দেখা মানুষের সাধ্য নয়। যিনি যতবড় বিচক্ষণ পন্ডিতই হোন না কেন,
শেষ ফলটুকু ভগবানের হাত থেকেই নিতে হয়।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
. বাধাঁ গরু অনাহারে দাড়িয়ে মরতে দেখেছ?
সে দাড়িয়ে মরে তবু সে জীর্ণদড়িটা ছিড়ে ফেলে মনিবের শান্তি নষ্ট করেনা।
শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়
“তিক্ততার মধ্য দিয়ে সংসার ছেড়ে শুধু হতভাগ্য লক্ষ্মীছাড়া জীবনই যাপন করা চলে, কিন্তু বৈরাগ্য সাধন হয় না”।
“যাহার প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা নদীগর্ভে ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে,সে আর খান কতক ইট বাঁচাইবার জন্য নদীর সহিত কলহ করিতে চাহে না”।
আলোচ্য শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উক্তি তাঁর রচিত ‘চন্দ্রনাথ’ উপন্যাস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
“মানুষের দীর্ঘ-জীবনে তাকে অনেক পা চলতে হয়,দীর্ঘ পথটির কোথাও কাদা, কোথাও পিছল,কোথাও উঁচু-নীচু থাকে, তাই লোকের পদস্থলন হয়; তারা কিন্তু সে কথা বলে না,শুধু পরের কথা বলে|পরের দোষ,পরের লজ্জ্বার কথা চীৎকার করে বলে,সে শুধু আপনার দোষটুকু গোপনে ঠেকে ফেলবার জন্যই|”
আলোচ্য শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাণী তাঁর রচিত ‘চন্দ্রনাথ’ উপন্যাস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
রাজার আইন, আদালত, জজ, ম্যাজিস্ট্রেট সমস্ত মাথার উপরে থাকিলেও দরিদ্র প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিঃশব্দে মরিতে হইবে।
উপরোক্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উক্তি তাঁর রচিত ‘পল্লীসমাজ’ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
যাহাকে ভালোবাসি সে যদি ভালো না বাসে,
এমনকি ঘৃণাও করে তাও বোধ করি সহ্য হয়!
কিন্তু যাহার ভালবাসা পাইয়াছি
বলিয়া বিশ্বাস করেছি, সেইখানে ভুল
ভাঙ্গিয়া যাওয়াটাই সবচেয়ে নিদারুন।
পূর্বের টা ব্যাথা দেয়।
কিন্তু শেষের টা ব্যাথাও দেয়, অপমান ও করে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ভেবেচো, বুঝি হঠাৎ করে করে
তোমাকে কুড়িয়ে পেয়েছিলুম?
কুড়িয়ে তোমাকে পাইনি,
পেয়েছিলুম অনেক তপস্যায়, অনেক আরাধনায়।
তাই, বিদায় দেবার কর্তা তুমি নও,
আমাকে ত্যাগ করার মালিকানা
স্বত্বাধিকার তোমার হাতে নেই।
শেষ কথা
আমাদের জীবন চলার পথে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় তখন মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দেওয়া বাণী গুলো আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে আজকে আমরা ‘ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উক্তি’ গুলো আলোচনা করেছি যা আমাদেরকে সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে সঠিক দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।