হযরত আলী রাঃ এর উক্তি

হযরত আলী রাঃ এর উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব, মূলত এই বিষয়গুলো নিয়ে মহান মনীষীরা এবং সফল ব্যক্তিদের দূরদৃষ্টি কেমন ছিল সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে, তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ‘ভালোবাসা নিয়ে উক্তি’ গুলো আমাদের জীবনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে সঠিক দিকনির্দেশনা হয়ে কাজ করবে।

হযরত আলী রাঃ এর উক্তি

জনপ্রিয় এই উক্তি বাংলা ওয়েবসাইটে মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিদের বলে যাওয়া ‘ হযরত আলী রাঃ এর উক্তি’ সমূহ জেনে, নিজের জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করি।  

“কারো সাথে বাক্যলাপ না হওয়া পর্যন্ত তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করোনা।”

“অল্প বিদ্যায় আমল বিনষ্ট হয়। শুদ্ধ জ্ঞানই আমলের পুর্ব শর্ত।”

“জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা যত বাড়বে , বক্তব্য তত কমবে ।”


হযরত আলী (রাঃ) কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে এক ব্যক্তি অনাহুতভাবে তাকে গালাগাল দিতে শুরু করল। হযরত আলী লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, ভাই! তুমি আমার সম্পর্কে যা কিছু বললে তা যদি সত্য হয় তবে আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন আর যদি তোমার এই সমস্ত কথা সত্য না হয় তবে আল্লাহ পাক যেন তোমাকে ক্ষমা করে দেন।


প্রকৃত দ্বীনদারী পার্থিব স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমেই সম্ভব।


কারো সাথে বাক্যলাপ না হওয়া পর্যন্ত তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করোনা।


কেউ স্বীকৃতি না দিলেও তুমি তোমার সদাচরণ অব্যাহত রাখবে।


বন্ধুত্ব করার মত কোন যোগ্যলোক পাওয়া না গেলেও অযোগ্যদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যেও না।


অল্প বিদ্যায় আমল বিনষ্ট হয়। শুদ্ধ জ্ঞানই আমলের পুর্ব শর্ত।


সততার মাধ্যমে একজন নিরীহ প্রকৃতির লোকও যে মর্যাদার অধিকারী হয়, বুদ্ধিমানেরা রকমারী কলাকৌশল প্রয়োগ করেও তার নিকটে পৌঁছতে পারে না।


ধন সম্পদের অহংকার থেকে আল্লাহর পানাহ চাও।এটা এমন একরোগ, যা মানুষকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে পৌছিয়ে দেয়।

“শত্রুকে পরাজিত করার সর্বোত্তম উপায় হল ক্ষমা।”

 “স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বড় সুখ আর কিছু নেই।”

” হীনতম জ্ঞান জিহ্বায় থাকে এবং উচ্চমানের জ্ঞান কর্মের মাঝে প্রকাশ পায় ।”

“মানুষের জ্ঞানের একটি হিংসাত্মক কাজ হলো আত্মম্ভরিতা।”

“বুদ্ধিমান লোক নিজে নত হয়ে বড় হয়, আর নির্বোধ ব্যক্তি নিজেকে বড় বলে অপদস্ত হয়।”

জ্ঞান নিয়ে অন্যান্য মনিষীদের উক্তিগুলো জেনে নিন।


সেই ব্যক্তির পক্ষেই সর্বাধিক সৎকর্ম করা সম্ভব,যে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।


ত্বরিত ক্ষমা-প্রদর্শন ভদ্রতার নিদর্শন। আর ত্বরিত প্রতিশোধ গ্রহণ হীনতার পরিচায়ক।


সম্মুখে তারিফ করে দুষমন সে জন ।

হযরত আলী রাঃ এর উক্তি - উক্তি বাংলা
যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না।


তোমার যা ভাল লাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে।


যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না!


মানুষের চরিত্র সত্য ও সুন্দর হলে তার কথাবার্তাও নম্র ভদ্র হয়।


অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে।


আত্মীয়ত্যাগী ধনী অপেক্ষা আত্মীয়বত্সল গরিব ভালো।


স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বড় সুখ আর কিছু নেই।


সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষন।


ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন।


যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না।


কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে।


কৃপণতা সকল বদভ্যাসের সম্মিলিত রুপ। এটা এমনি এক লাগাম যা দ্বারা যে কোন অন্যায়ের দিকে টেনে নেওয়া চলে।


শত্রুরা শত্রুতা করতে কৌশলে ব্যর্থ হলে তারপর বন্ধুত্বের সুরত ধরে।


মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু।


হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে।

. “হীনতম জ্ঞান জিহ্বায় থাকে এবং উচ্চমানের জ্ঞান কর্মের মাঝে প্রকাশ পায়।”

“একজন জ্ঞানী ব্যক্তির প্রকৃত সম্পদ তার ভাল কাজের মধ্যে নিহিত।”

“বিপদে ধৈর্য ধরা ঈমানের অর্ধেক।”

শেষ কথা

আমাদের জীবন চলার পথে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় তখন মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দেওয়া বাণী গুলো আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে আজকে আমরা ‘ হযরত আলী রাঃ এর উক্তি’ গুলো আলোচনা করেছি যা আমাদেরকে সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে সঠিক দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।

উক্তি পড়ুন
আরও পড়ুন